-> আজকাল। ৩১ জানুয়ারি, ২০১১। আয়না – পৃষ্ঠা ৪ : পাঠশালা ।
‘পাঠশালা’। সেখানেই শুরু প্রথম পাঠ। তবে এ পাঠশালা গুরু-শিষ্যের নয়। এ একান্তই প্রবীণ আর নবীন লেখকদের। বলা যায় নিজস্ব ক্যানভাস। সম্প্রতি পথ চলা শুরু করল ত্রৈমাসিক জার্নাল পাঠশালা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অনিতা ব্যানার্জি মেমোরিয়াল হলে। মূলত প্রবন্ধের পত্রিকা। চৌকাঠে বন্দি নয়, নতুন ভাবনা-চিন্তার হদিশ মিলল প্রথম প্রকাশেই।
-> সংবাদ প্রতিদিন। ৬ ফেব্রুয়ারি , ২০১১। ছুটি – ছোট ছাউনির প্রিন্স। পৃষ্ঠা ১-২
টেবিলে টেবিলে ঘুরে যে সমস্ত লিটল ম্যাগাজিন খুঁজে নিয়েছেন সোমা মুখোপাধ্যায় চক্রবর্তী, তার মধ্যে পাঠশালা পত্রিকার প্রথম সংখ্যা (২০১১) নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। প্রথম পৃষ্ঠায় পত্রিকাটির প্রচ্ছদের ছবি স্থান পেয়েছে অন্যান্য লিটিল ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ-চিত্রের সঙ্গে। তিনি তাঁর লেখায় বলেছেন – পাঠশালা পত্রিকার প্রথম সংখ্যায় (২০১১) বাংলা সিনেমার হালহকিকত নিয়ে আলোচনায় বসেছেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, রংগন চক্রবর্তী, মৈনাক বিশ্বাস, মধুজা মুখোপাধ্যায়। খাদ্য সঙ্কট ও স্থানীয় অর্থনীতি নিয়ে লিখেছেন শুভেন্দু দাশগুপ্ত। এছাড়া আরও অনেক মনোজ্ঞ প্রবন্ধ রয়েছে।
-> প্রাত্যহিক খবর। ২০ ফেব্রুয়ারি , ২০১১। বইপত্র। লিটল ম্যাগাজিনের খবর – সন্দীপ দত্ত – পৃষ্ঠা – ৮
পাঠশালা হাওড়া থেকে প্রকাশিত নবজাত পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক : অমিত রায়, সম্পাদক : কপোতাক্ষী সুর। এই ত্রৈমাসিক পত্রিকাটি মূলত প্রবন্ধের। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘আমাদের স্বঘোষিত লক্ষ্য অনুযায়ী ‘পাঠশালা’র সারস্বত্ সংখ্যাতে বিচিত্রবিদ্যার এক বর্ণিল সমাবেশের প্রচেষ্টা করা হয়েছে। হয়তো ‘অ্যাকাডেমিকস’-এর বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্বমূলক নিবন্ধের প্রকাশ এখানে হয়নি – তা বোধহয় খুব জরুরিও নয়। তবু এখানে ইতিহাস থেকে দর্শন, অর্থনীতি থেকে বাংলা সাহিত্য, লোকসংস্কৃতি ও বিজ্ঞান হাত ধরাধরি করে চলেছে। এর পাশাপাশি সষ্টি হয়েছে কতিপয় বিভাগ যেমন, অন্য চোখে, তাহাদের কথা, চণ্ডীমণ্ডপ ও দুগ্গা দুগ্গা। পাঠশালা আত্মপ্রকাশ সংখ্যায় নীল বিদ্রোহ, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশতবর্ষ স্মৃতি তর্পণ করেছে বিভিন্ন প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে। সুস্নাত দাশ ‘ঐতিহাসিক নীলবিদ্রোহের প্রেক্ষিতে অবিভক্ত বাংলার কৃষক আন্দোলন’ প্রবন্ধে ঔপনিবেশিক বাংলার নীলচাষীদের প্রতি ইংরেজ নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের পরিপ্রেক্ষিতে নীলচাষিদের আন্দোলনের কথা তুলে ধরেছেন। বাসব চৌধুরী ‘গবেষণাগার থেকে বাজার – পথিকৃৎ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়’ প্রবন্ধে রসায়ন শিল্পের মাধ্যমে কীভাবে বাঙালিকে কর্মময় জীবনে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন এবং প্রফুল্লচন্দ্রের স্বপ্ন কেন বাস্তবায়িত হল না, সে সম্পর্কে বক্তব্য রেখেছেন। শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায় ‘উত্তর ঔপনিবেশিক আবহে অন্তরঙ্গতা : রবীন্দ্রনাথ ও স্মরণের পুনর্নির্মাণ’ প্রবন্ধটি মূল্ ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন শ্রুতি ঘোষ। ‘ঘরে বাইরে’ উপন্যাস বা ‘নষ্টনীড়’ গল্পে এবং কিছু প্রবন্ধ সূত্রে লেখক রবীন্দ্রভাবনা-নির্মাণের কথা আলোচনা করেছেন। সঙ্গীতা সান্যাল তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখলেখিতে যে রাঢ অঞ্চলের পরিপ্রেক্ষিত উঠে এসেছে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন ‘লালমাটির বাউল-মনা সেই পথিকটি’ প্রবন্ধে। সুশ্রীমা দত্ত সেনশর্মা ‘নৃত্যে ও ছবিতে আলিবাবা’ প্রসঙ্গ আলোচনা করেছেন তথ্য সহ। সুজিত সুর ‘বিয়ে নিয়ে সাতকাহন’ গদ্যে মূলত মুসলিম বিবাহ ও সুন্দরবনের নিম্নবর্গীয় মানুষদের বিবাহরীতি আলোচনা করেছেন। মহাদেব দাসের আলোচনা ভাবনা ‘সাহিত্যের শবর : বাস্তবের শবর’। শুভেন্দু দাশগুপ্ত আলোচনা করেছেন ‘খাদ্য সংকট ও স্থানীয় অর্থনীতি’ প্রসঙ্গে। অপূর্বকুমার চট্টোপাধ্যায় মানব উন্নয়নের দু’দশকের রিপোর্ট নিয়ে তথ্যভিত্তিক আলোচনা করেছেন ‘মানব উন্নয়নের দু’দশক’ প্রবন্ধে। প্রদীপ দত্তের আলোচনায় উঠে এসেছে ভোপালের গ্যাস দুর্ঘটনা থেকে ভাপি, আঙ্কলেশ্বর, নন্দসারি, হলদিয়া, নয়াচরে পেট্রো কেমিক্যালস শিল্পের প্রভাব কী ও কী হতে পারে ইত্যাদি নানা প্রসঙ্গ। এছাড়া সমাজতন্ত্র ভাবনা, টিভি সিরিয়াল, বাংলা সিনেমার হালহকিকৎ, কবিতা ভাবনা, ভ্রমণ ইত্যাদি সম্পর্কিত আলোচনা ও সাক্ষাৎকার।
-> ইয়ারবুক বার্তা। জুলাই, ২০১১। সৌজন্যে পাওয়া পত্রিকা : জাহিরুল হাসান।
শুনেছি প্রবন্ধের বই নাকি তেমন বিক্রি হয় না। কলেজ স্ট্রিটের দোকানগুলি প্রবন্ধের বই দেখলে নাক সিটকায়। কিন্তু পত্রিকা বিক্রি তো হয় প্রবন্ধের জন্যই। আর বোধহয় প্রবন্ধের এই চাহিদার কথা ভেবেই নতুন নতুন প্রবন্ধের পত্রিকা বেরোচ্ছে। এরকম একটি পত্রিকা অমিত রায় ও কপোতাক্ষী সুর সম্পাদিত পাঠশালা। নামটা লাগসই, সামনের-পেছনের মলাট ও বর্ণাঙ্কনও চোখ টানে। গবেষক ও পণ্ডিতদের আমন্ত্রণে বোঝা যায় পত্রিকাটির বিদ্যায়তন ঝোঁক। তবে গুরুর সঙ্গে লঘুরও রয়েছে সহাবস্থান। এরকম একটি পত্রিকার প্রয়োজন ছিল।
-> আনন্দবাজার পত্রিকা। ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১। পুস্তক পরিচয়
‘পাঠশালা’এবার থেকে পরিচিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক পাঠশালা নামে। নতুন সংখ্যাটিও মননশীল নিবন্ধে ঋদ্ধ। এরপর বিভিন্ন প্রবন্ধ সম্পর্কে সমালোচকের সপ্রশংস উল্লেখ।
-> বইয়ের দেশ।জানুয়ারি- মার্চ ২০১৫। পুস্তক পরিচয়। পৃষ্ঠা ১৪২।
সুন্দরবনের মানুষ। সেখানকার লোকসংস্কৃতি বিষয়ে দীর্ঘ ক্ষেত্রসমীক্ষার ফসল এই গ্রন্থের (মাটিতে পা রেখে : সুজিত সুর । পাঠশালা প্রোডাকসন্স, ৩০০.০০) প্রবন্ধগুলি। এখানে আছে বনবিবির উৎস অনুসন্ধানে লেখকের প্রয়াস, সুন্দরবনে শীতলাদেবীর উত্থান, ব্রিটিশ যুগের একজন প্রায়বিস্মৃত ইংরেজ প্রশাসক টিলম্যান হেঙ্কেল সাহেবের নয়া আবাদের উদ্যোগ প্রসঙ্গ।
-> আনন্দবাজার পত্রিকা। ১৮ এপ্রিল ২০১৫। পুস্তক পরিচয় : জনজীবনের সাংস্কৃতিক অন্বেষণ।
সুন্দরবনের মানুষ। সেখানকার লোকসংস্কৃতি বিষয়ে দীর্ঘ ক্ষেত্রসমীক্ষার ফসল এই গ্রন্থের (মাটিতে পা রেখে : সুজিত সুর । পাঠশালা প্রোডাকসন্স, ৩০০.০০) প্রবন্ধগুলি। এখানে আছে বনবিবির উৎস অনুসন্ধানে লেখকের প্রয়াস, সুন্দরবনে শীতলাদেবীর উত্থান, ব্রিটিশ যুগের একজন প্রায়বিস্মৃত ইংরেজ প্রশাসক টিলম্যান হেঙ্কেল সাহেবের নয়া আবাদের উদ্যোগ প্রসঙ্গ।